এবার স্ত্রী শেরীফা কাদেরকে সংসদে নিচ্ছেন না জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ভাগের দুই সংরক্ষিত নারী আসনে জাপার প্রার্থী হবেন- দলের কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি নুরুন নাহার বেগম। বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাত্র ১১ আসন পেয়ে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় পার্টির। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন ৬২ আসনে। যদিও স্পিকার জাপাকে প্রধান বিরোধীদলের স্বীকৃতি দিয়েছেন। জি এম কাদের পেয়েছেন বিরোধীদলের নেতার মর্যাদা।
নির্বাচনের আগে থেকেই অস্থিরতা চলছে জাপায়। দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধে টিকতে না পেরে নির্বাচন বর্জন করেন রওশন এরশাদ। সম্মানজনক সংখ্যক আসন নিয়ে বিরোধী দল হওয়া ও জি এম কাদের হবেন বিরোধীদলের নেতা- এই শর্তে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে অংশ নেয় জাপা। দলটি ২৬ আসন ছেড়ে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী লীগ।
ভোটের পর লাঙলের প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, শেরীফা কাদেরকে আসন ছাড় দেওয়ায় দলের নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জি এম কাদের। আওয়ামী লীগ শেরীফা কাদেরকে আসন ছাড়তে রাজি ছিল না। জি এম কাদের এতে বেঁকে বসেন। ঢাকা-১৮ আসনে শেরীফা কাদেরের জন্য ছাড় পাওয়ার পর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন জি এম কাদের।
আসন ছাড় পেলেও ভোটের ভরাডুবি হয়েছে শেরীফা কাদেরের। মাত্র ৬ হাজার ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত দুই প্রার্থী ৭৯ হাজার এবং ৪৫ হাজার ভোট পেয়ে মূল লড়াইয়ে ছিলেন। ভোটের আগের শেরীফা কাদেরকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করেন জি এম কাদের।
নির্বাচনের পর জি এম কাদেরের সমালোচনায় মুখর নেতারা শেরীফা কাদেরের আসন ছাড় পাওয়া এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য বনে যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন। ২০১৯ সালে জি এম কাদের জাপার চেয়ারম্যান হওয়ার পর দলে শেরীফা কাদেরের গুরুত্ব দিনে দিনে বেড়েছে। মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২০২১ সালের নভেম্বরে এমপি হন তিনি। এবারও সংরক্ষিত নারী আসনে শেরীফা কাদের এমপি হতে যাচ্ছেন- এ সম্ভাবনায় জাপায় ক্ষোভ আরও বাড়ে।
Leave a Reply